ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
তার ভাষায়, “শাস্তি অবশ্যম্ভাবী, এবং সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।”
এই বক্তব্যটি খামেনি দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত একটি বার্তায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি হামলার ঘটনার পর এই প্রথম তিনি প্রকাশ্যে এতটা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানালেন।
খামেনি লিখেছেন, “ইসরায়েল আমাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ করেছে। এই অপরাধের জবাব তারা পাচ্ছে এবং পেতেই থাকবে।”
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা ও নিরাপত্তা সতর্কতা
১৩ জুন ইসরায়েলি সেনারা ইরানের অভ্যন্তরে সরাসরি হামলা চালায়, যার জবাবে ইরান পাল্টা হামলা শুরু করে। তীব্র উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তার স্বার্থে খামেনি তার বাসভবন ত্যাগ করে নিরাপদ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। একইসঙ্গে তিনি উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন, যদি তার ওপর কোনো হামলার সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নেয়।
খামেনি বর্তমানে ইরানের রাজনীতি, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। ফলে তার অনুপস্থিতি বা ক্ষতির আশঙ্কা ইরানের জন্য গভীর সংকট ডেকে আনতে পারে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় চালানো সাম্প্রতিক হামলার জেরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ফ্রান্স, গ্রিস, পাকিস্তান ও ফিলিপিন্সসহ বহু দেশে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এই হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাপ্রবাহ শুধু ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বকেই নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
-আলজাজিরা
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...