Logo Logo

দক্ষিণ ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা: অন্ধকারে লাখো মানুষ


Splash Image

ইসরায়েলে হামলা, ছবি- সংগৃহীত

দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি কৌশলগত বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার ফলে ওই অঞ্চলের বিশাল এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


জর্ডানের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়, এবং ইসরায়েল ইলেকট্রিক কোম্পানিও হামলার সত্যতা স্বীকার করেছে।

কোম্পানিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানায় বিদ্যুৎ সরবরাহে গুরুতর বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। স্থাপনাটি ছিল কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

অন্যদিকে, আল জাজিরা জানায়, ইরানের ছোড়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় আশদোদ শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এছাড়া জেরুজালেমের দক্ষিণে লাচিস শহরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো এসব হামলায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবর দিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, জেরুজালেমের আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং সতর্কতা সাইরেন বাজানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ইরান থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে, যার ফলে সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ ইসরায়েলের বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। এমনকি ইসরায়েলি পার্লামেন্ট ‘নেসেট’-এও হুলস্থুল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, আইনপ্রণেতারা দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন।

আল জাজিরার সূত্র অনুযায়ী, গত ১০ দিনে ইরানের টানা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি কৌশলগত অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানী জেরুজালেম, হাইফা এবং দক্ষিণাঞ্চলের অনেক শহরেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর মিলেছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের একাধিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যার মধ্যে পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি এবং আবাসিক এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে প্রাণ হারান অন্তত ৪০০ জন ইরানি নাগরিক, যাদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিকরা ছিলেন।

ইরান এর জবাবে শুরু করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’, যার আওতায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ২১ দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি দিনদিন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...