ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্যমতে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষের সময় একটি ব্যাটালিয়নের পাঁচ সেনা ও একজন প্লাটুন কমান্ডার প্রাণ হারান। আরও একজন সেনা নিহত হয়েছেন, তবে তার পরিচয় তার পরিবারের অনুরোধে প্রকাশ করা হয়নি।
এই প্রাণহানির ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনা নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩০-এর বেশি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, হামাস ইসরায়েলের ভেতরে এক নজিরবিহীন আক্রমণ চালায়। এতে প্রাণ হারান ১ হাজার ২১৯ জন ইসরায়েলি নাগরিক, যাদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক। একইসঙ্গে, হামাস ২৫১ জনকে অপহরণ করে গাজা উপত্যকায় নিয়ে যায়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্যমতে, এখনও অন্তত ৪৯ জন জিম্মি গাজায় অবস্থান করছেন এবং তাদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
হামলার পরপরই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বিমান ও স্থল অভিযানে নামে। শুরু হয় একতরফা এবং বেপরোয়া সামরিক আগ্রাসন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৭৭ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা সর্বাধিক। জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে সাধারণত নির্ভরযোগ্য হিসেবে গণ্য করে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ইসরায়েল গাজার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে। এতে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ সকল প্রকার মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে প্রায় ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষসদৃশ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির মাত্র একদিন পর, ইসরায়েলি সেনাপ্রধান হার্জি হালেভি মঙ্গলবার জানান, এখন থেকে দেশটির “মূল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু” হবে গাজা উপত্যকা।
এই বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছে, তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও, গাজায় যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা কমার সম্ভাবনা এখনও ক্ষীণ।
