Logo Logo
জাতীয়

আজ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস


Splash Image

আজ ২৬ জুন, জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস পালিত হচ্ছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। প্রতিবছর এই দিনটি নির্যাতনের শিকার মানুষদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পালন করা হয়।


বিজ্ঞাপন


জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কনভেনশন ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়ার পর, ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নির্যাতনকে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কোনো পরিস্থিতিতেই নির্যাতনকে মেনে নেওয়া যায় না এবং এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শীর্ষ পর্যায়ের দৃষ্টান্ত। বর্তমান বিশ্বে নানা কারণে নির্যাতন ও অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে চলেছে, যা মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

আজ বাংলাদেশে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভা, সেমিনার, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। এর মাধ্যমে সমাজে নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টি ও সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেন, “এই দিবস পালনে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। আমাদের লক্ষ্য হলো নির্যাতনমুক্ত একটি সমাজ ও শাসনের নৈতিক ভিত্তি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হওয়া।” তিনি আরো বলেন, “এই দিনটি হোক শাসনের নৈতিক ভিত্তি পুনরুদ্ধারে এবং সব দেশের জন্য এক মোড় পরিবর্তনের সূচনা।”

এছাড়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃত্বও এই দিবস উপলক্ষে বাণী প্রদান করেছেন। তারা নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের গুরুত্ব গুরুত্বারোপ করেছেন এবং মানবাধিকার রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সম্মান ও সহানুভূতি জানানো, নির্যাতন প্রতিরোধে বৈশ্বিক সচেতনতা তৈরি করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী নির্যাতনকে অপরাধ হিসেবে তুলে ধরে রাষ্ট্রগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা।

বিশ্বব্যাপী এই দিনে নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে একটি নির্যাতনমুক্ত পৃথিবী গড়ার আহ্বান জানানো হয়। সেমিনার, আলোচনাসভা, মানববন্ধন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়া হয়।

বিশ্ব মানবতার প্রতি সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। আজকের দিনে আমাদের প্রত্যেকেরই সচেতন হওয়া প্রয়োজন নির্যাতনের যেকোনো রূপ, অবস্থান বা কারণেই হোক, তাকে কঠোরভাবে দমন ও প্রতিরোধ করার জন্য একযোগে কাজ করার। একটি মানবিক ও সম্মানজনক বিশ্ব গড়ে তোলাই এই দিবসের প্রকৃত উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাল ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাল ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড
ঘুষ না পেয়ে সাংবাদিককে হয়রানি: এসআই এর বিরুদ্ধে  বিস্ফোরক অভিযোগ
ঘুষ না পেয়ে সাংবাদিককে হয়রানি: এসআই এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ