বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের আমজাদ মজিদ মিয়ার বাড়ির পুকুরে অভিযান চালায় বন বিভাগের একটি দল। তবে কুমিরের কোনো অস্তিত্ব তারা খুঁজে পাননি।
এর আগে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই বাড়ির গৃহবধূ নাহিদা আক্তার পান্না দাবি করেন, তিনি তাদের বাড়ির পেছনের পুকুরে কুমির সদৃশ একটি প্রাণী ভেসে থাকতে দেখেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাহেদ উদ্দিন জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তারা পুকুরে জাল ফেলে তল্লাশি চালান, কিন্তু কোনো কুমিরের খোঁজ না পেয়ে অভিযান শেষ করে ফিরে যান।
পুকুরের মালিক মো. মাসুদুল ইসলাম শরীফ বলেন,
“চার দিন আগে রোববার বিকেলে আমাদের গ্রামের ফেরিওয়ালাদের বাড়ির বেলালের ঘরে প্রথম কুমির সদৃশ প্রাণীটি দেখা যায় বলে তারা দাবি করে। পরে আমার স্ত্রী বুধবার ওই প্রাণীটিকে আমাদের পুকুরে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং হাজারো মানুষ ভিড় জমায়। কেউ কেউ ভিডিও ও ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্টও করে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পুকুরের চারদিক ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে আর কিছুই নেই।”
হাতিয়া বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন,
“আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের দেখানো একটি স্থিরচিত্র বিশ্লেষণ করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি একটি রামগুই বা গুইসাপ। যদি আগে ছবিটি পাওয়া যেত, তাহলে এতটা বিশৃঙ্খলা হতো না। আলো স্বল্পতার কারণে বুধবার রাতে প্রাণীটি স্পষ্ট বোঝা যায়নি। তবে এ আকারের রামগুই সচরাচর দেখা যায় না, এজন্য মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে।”
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন,
“বন বিভাগ পুকুরে জাল ফেলে কুমিরের অস্তিত্বের অনুসন্ধান করেছে। তবে কিছুই পাওয়া যায়নি। একটি ছবি দেখে আমরা ধারণা করছি, সেটি গুইসাপ ছিল।
-নোয়াখালী প্রতিনিধি, গিয়াস রনি।
