ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘ চার বছর পর বার্সেলোনার কাছে নিজের প্রাপ্য বকেয়া অর্থ পাচ্ছেন লিওনেল মেসি। ২০২১ সালে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে ক্লাবটি যখন নাটকীয়ভাবে মেসিকে ছেড়ে দেয়, তখনই আলোচনায় আসে তার বকেয়া পারিশ্রমিকের বিষয়টি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’-এর তথ্য অনুযায়ী, কাতালান ক্লাবটির কাছ থেকে প্রায় ৬ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ কোটি টাকার বেশি) পাওয়ার কথা ছিল মেসির। শেষ পর্যন্ত সেই পাওনাটিই বুঝে পাচ্ছেন তিনি।
২০২০ সালে মেসির শেষ চুক্তি অনুযায়ী, তার মোট ৪৮ মিলিয়ন ইউরো পাওয়ার কথা ছিল কয়েক কিস্তিতে। তবে করোনা মহামারির সময় আর্থিক দুর্দশায় পড়া বার্সেলোনা শেষ কিস্তির অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হয়। শুধু মেসিই নন, স্যামুয়েল উমতিতি, সার্জিও বুসকেটস, কৌতিনিয়ো, উসমান দেম্বেলে ও সাবেক কোচ রোনাল্ড কুমানেরও পারিশ্রমিক বকেয়া ছিল ক্লাবটির কাছে। তৎকালীন সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তামেউর প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও আর্থিক দুর্বলতা এজন্য অনেকাংশে দায়ী।
বার্সার সঙ্গে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বিদায় নেওয়ার পর মেসি যোগ দেন পিএসজিতে, তবে সেখানেও কাটেনি সেরা সময়। এরপর গুঞ্জন ছিল বার্সায় ফেরার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ২০২৩ সালে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। সেখানে তিনি এখন এমএলএস-এর সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড়। বার্তা সংস্থা এপি’র তথ্য মতে, তার বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ২০.৪৪ মিলিয়ন ডলার, যা এমএলএসের অন্য সব দলের খেলোয়াড়দের সম্মিলিত বেতনের চেয়েও বেশি।
বর্তমানে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামি। প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই তারা উঠে এসেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। আজ (রোববার) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় তারা লড়বে মেসিরই সাবেক ক্লাব পিএসজির বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে এক জয় ও দুই ড্র নিয়ে ৫ পয়েন্ট অর্জন করে দ্বিতীয় হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছেছে মায়ামি। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামার আগমুহূর্তে পুরনো ক্লাব বার্সেলোনা থেকে পাওনা বুঝে পাওয়া যেন এক ভিন্ন আবেগের গল্প হয়ে থাকল মেসির জন্য।
