ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে অনেকেই তখন ত্রাণ সংগ্রহে গিয়েছিলেন। হামলায় গাজা শহর ও এর উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদক মোয়াথ আল-কাহলুত বর্ণনা করেছেন আল-আহলি হাসপাতালে ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতি। তিনি জানান, জয়তুন, সাবরা এবং আল-জাবিয়া বাজার এলাকায় চালানো হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন। হাসপাতালের ভেতর শিশুসহ বহু আহত রোগী ফ্লোরে পড়ে আছেন, কারণ পর্যাপ্ত বিছানা কিংবা চিকিৎসা সরঞ্জামের মারাত্মক সংকট চলছে। চিকিৎসকদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে আহতদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
রাফাহ শহরের উত্তরে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে চালানো হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন ত্রাণপ্রার্থী প্রাণ হারান। আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, এসব হামলার সময় আহত ও নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ এবং শিশুরা।
এর আগে ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজ জানায়, ইসরাইলি সেনাদের ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি ইসরাইলি সেনাদের ভেতর থেকেই ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে গাজা উপত্যকায়। শিশুদের পুষ্টিহীনতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, এবং সেই কারণে অনেকে মারা যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, অপুষ্টি ও অনাহারে থাকা আহতদের ক্ষতও সঠিকভাবে সারছে না। পাশাপাশি, ধ্বংসযজ্ঞে ধুলা-বালির আধিক্যে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বেড়েই চলেছে।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা গাজায় দ্রুত একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি ও পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার আহ্বান জানালেও, মরণঘাতী এই সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।
