বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই শিক্ষার্থীরা আশপাশের ভাড়া বাসা ও মেসে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করছিলেন। এতে নিরাপত্তা ও পড়াশোনার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছিল। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও বাস্তব প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (DPP)’ তৈরি করে ইউজিসিতে জমা দেয়। ইউজিসির নির্দেশনায় অস্থায়ীভাবে ছাত্র হল নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ১১০ জন শিক্ষার্থী হলের সুযোগ পাবেন। প্রতিটি কক্ষে ২-৩ জন শিক্ষার্থী থাকার সুযোগ থাকবে। তবে জায়গা ও কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় হলে লাইব্রেরি বা পাঠকক্ষ রাখা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেন, “হলের মূল নির্মাণকাজ শেষ। এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। কিছু আসবাবপত্র এসেছে, বাকিগুলো জুলাই মাসে আসবে। অফিসিয়াল সেটআপ জুলাইয়ের মধ্যেই হবে এবং আগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে।”
আবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী, পঞ্চাশ শতাংশ সিট প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। বাকি পঞ্চাশ শতাংশ সিট পাবে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তবে আসন বরাদ্দে দূরত্ব ও মেধাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”
হলে বিদ্যুৎ ও ক্যান্টিনের ব্যবস্থা থাকছে। তবে জেনারেটর বা আইপিএস থাকবে কি না, তা পরে নির্ধারণ করা হবে। পাশাপাশি জরুরি চিকিৎসাসেবা বা ফার্স্ট এইডের ব্যবস্থা নিয়েও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উপ-উপাচার্য জানান, “হলটি সম্পূর্ণভাবে সিসিটিভির আওতায় থাকবে। নিরাপত্তায় থাকবে প্রশিক্ষিত গার্ড ও আনসার সদস্য। প্রভোস্ট এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি, তবে জুলাই মাসে তা সম্পন্ন হবে।”
হলে রাজনীতি চর্চা করা যাবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হলে কোনো ধরনের রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। এমনকি এমন কোনো কার্যক্রম যা সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত করে, তাও নিষিদ্ধ থাকবে।”
উল্লেখ্য, এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে কেবল একটি ছাত্রী হল পরিচালিত হলেও, ছাত্রদের জন্য কোনো হল ছিল না। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় মাত্র ১১৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। বর্তমানে পাঁচটি বিভাগে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার।
প্রতিবেদক- মো. হাফিজ।
