বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার চান্দুরা বাজার এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, হেফাজতে ইসলাম, এনসিপি এবং স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে প্রায় ৯৬ হাজার ভোটার রয়েছেন, যা উপজেলার মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক। দুই লক্ষাধিক ভোটারবিশিষ্ট উপজেলা একক সংসদীয় আসনের জন্য উপযুক্ত হলেও বছরের পর বছর এটিকে একবার সদর, একবার সরাইল, আবার কখনো নাসিরনগরের সঙ্গে যুক্ত করে অবহেলিত রাখা হয়েছে।
বক্তাদের দাবি, নতুন করে সরাইল আসনের সঙ্গে তিনটি ইউনিয়ন যুক্ত করায় মানুষের ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। তারা এটিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বিজয়নগরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
চান্দুরা এলাকার বাসিন্দা ও জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন সেক্রেটারি শিহাব উদ্দিন বলেন, "আমাদের দাবি, বিজয়নগরকে একক সংসদীয় আসন বা আগের আসনে রাখা হোক। কোনোভাবেই বিজয়নগরকে দ্বিখণ্ডিত করা যাবে না।"
এদিকে, উপজেলার জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও এনসিপির নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষায় তিনটি ইউনিয়নকে আগের আসনে রাখার দাবিতে একটি লিখিত আবেদন বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রাথমিক গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন সদর ও বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। তবে নতুন গেজেটে বিজয়নগরের হরষপুর, চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জনপ্রিয়
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
