ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
নিহতদের সবাই কলম্বিয়ার নাগরিক এবং ভাড়াটে সেনা হিসেবে সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর জন্য লড়াই করছিলেন।
সুদানের সেনাবাহিনীর সূত্র এএফপিকে নিশ্চিত করেছে, উড়োজাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক মালিকানাধীন ছিল এবং এটি নায়লা বিমানবন্দরের রানওয়েতে স্পর্শ করার পরপরই বিস্ফোরক রকেট নিক্ষেপ করা হয়। পুরো বিমানটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বেঁচে যাওয়া কেউ হয়নি।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সরকারি সামরিক বাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই সংঘাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কলম্বিয়া এবং আরও কিছু দেশ আরএসএফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে জানা যায়। ওই সামরিক কার্গো বিমানটি পারস্য উপসাগরের আমিরাতের একটি নৌঘাঁটি থেকে রওনা হয়েছিল এবং এতে সামরিক সরঞ্জামসহ কলম্বিয়ার ভাড়াটে সৈন্যরা ছিলেন।
সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেছেন যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত আরএসএফকে অস্ত্র, অর্থ ও সৈন্য সহায়তা প্রদান করছে। কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনাদের নিয়োগ ও পাঠানো কাজেও আমিরাতের সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে আবুধাবি এই অভিযোগ একেবারে অস্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে আরএসএফ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। অন্যদিকে, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিহত সেনাদের মরদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জাতিসংঘও স্বীকার করেছে যে, ২০২৪ সালের শেষ থেকে সুদানের গৃহযুদ্ধে আরএসএফের পক্ষে কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনারা লড়াই করছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জাতিসংঘ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সুদানের সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর এই সংঘর্ষ এবং বহির্বিশ্বের জড়িত রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানের কারণে দেশের সংকট জটিল রূপ ধারণ করেছে, যা নিরীহ জনগণের জীবন এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...