ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সিপিবি নেতৃবৃন্দ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম। বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, রাগীব আহসান মুন্না, হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, সদস্য জাহিদ হোসেন খান, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম।
নেতারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ছিল একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, যার মধ্য দিয়ে দেশে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান ঘটে। তাঁদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলগুলো—বিশেষত আওয়ামী লীগ—বঙ্গবন্ধুর নীতি থেকে সরে গিয়ে মোশতাক–জিয়া–এরশাদের অনুসৃত পথে হেঁটেছে।
সিপিবি নেতাদের দাবি, ক্ষমতায় আসা ও টিকে থাকার স্বার্থে এসব দল বারবার স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেছে। ফলে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র নির্বাসনে গেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা তো দূরের কথা, বরং লুটেরা ধনিকশ্রেণিকে রক্ষায় সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছে সরকার।
তাঁরা আরও বলেন, এসব কারণেই ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র–শ্রমিক–জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এক বছর পার হলেও অভ্যুত্থানের মূল দাবি ও লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়নি।
আলোচনায় নেতারা জোর দিয়ে বলেন, আজকের বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির সমাবেশ গড়ে তোলা জরুরি। তাঁদের ভাষায়, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নয়, মুক্তিযুদ্ধের ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...