বিজ্ঞাপন
রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)। এটি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস (বিএএস) এবং যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হয়।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন বিএএস ফেলো তাদের গবেষণার উদ্দেশ্য, পদ্ধতি ও প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনা শেষে উপস্থিত গবেষকরা প্রশ্ন ও পরামর্শ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএএস-এর ফেলো ও সচিব অধ্যাপক ড. হাসিনা খান এবং বাকৃবি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম। সভাপতিত্ব করেন বিএএস-এর ফেলো মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মতিউর রহমান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, গবেষক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ইউএসডিএ’র এন্ডাওমেন্ট প্রোগ্রাম বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এর মাধ্যমে গবেষণার মানোন্নয়ন, তরুণ গবেষকদের সম্পৃক্তকরণ এবং উদ্ভাবনী গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা সম্ভব হচ্ছে। তাঁরা আরও উল্লেখ করেন, গবেষণার ফল দ্রুত মাঠপর্যায়ে পৌঁছালে কৃষকের আয় বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং টেকসই কৃষি উন্নয়ন সম্ভব হবে।
বিএএস-এর ফেলো অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মতিউর রহমান বলেন, গবেষণায় জনবল, যন্ত্রপাতি, ব্যবস্থাপনা, মনিটরিং এবং আর্থিক সহায়তা—এই পাঁচটি বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি গবেষণার সময়সীমা নির্ধারণ, ফলের প্রয়োগ এবং একাডেমি ও শিল্পখাতের মধ্যে কার্যকর সংযোগ স্থাপন জরুরি। গবেষণাকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার ওপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বিএএস-এর দীর্ঘ ৩০ বছরের পথচলায় বাকৃবির অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি তরুণ গবেষকদের সহজ ফান্ডিং সুযোগ কাজে লাগিয়ে সঠিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। গবেষকদের মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে পারলে গবেষণার মানোন্নয়ন সম্ভব হবে এবং মনিটরিং ব্যবস্থায় মানবিক দিকগুলোও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।
প্রতিবেদক - মোঃ আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...