বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, প্রতিবছর বর্ষাকালে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চলে শামুক-ঝিনুক সংগ্রহ। তবে এবার বর্ষার পানি দেরিতে নামায় চলতি মৌসুমে কাজ আরও এক মাস বাড়বে। তাড়াশ উপজেলার কামাড়শোন, দিঘী সগুনা, কুন্দইল, মাকড়শোন, নাদোসৈয়দপুর, মান্নান নগর, ঘরগ্রাম, মাগুরা বিনোদ ও হামকুড়িয়াসহ অন্তত ২০-২৫টি এলাকায় প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ নৌকা দিয়ে স্থানীয়রা প্রতিদিন শামুক-ঝিনুক সংগ্রহ করছেন। প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে তিন টন শামুক-ঝিনুক বিল থেকে তোলা হচ্ছে। প্রতি বস্তা শামুক ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব শামুক স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কিনে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মাছের খামারে খাদ্য হিসেবে সরবরাহ করছেন। ব্যবসায়ীদের হিসেবে চলনবিলে প্রতিবছর কোটি টাকার শামুক কেনাবেচা হয়।
শামুক সংগ্রহকারী আলতাফ হোসেন জানান, বর্ষায় চাষাবাদ বন্ধ থাকে। এ সময় শামুক সংগ্রহ করেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। প্রতিদিন এতে ৪০০-৫০০ টাকা আয় হয়।
ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ বলেন, অন্তত ২০-২৫ জন ব্যবসায়ী এ পেশায় জড়িত। বর্ষার তিন-চার মাস শামুক কিনে পাইকারি বাজারে বিক্রি করা হয়।
তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিদ্যুৎ কুমার বলেন, “২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে শামুককে জলজ প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হলেও এ আইন মানা হচ্ছে না। শামুক জলাশয়ের পানি বিশুদ্ধ করে এবং মিঠাপানির মাছের খাদ্য জোগায়। কিন্তু নির্বিচারে নিধনে জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ছে।”
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, “শামুক-ঝিনুক সংগ্রহের বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। সচেতনতা বাড়ানো হবে এবং প্রয়োজনে সংগ্রহকারী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...