বিজ্ঞাপন
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ঝোড়ো সূচনার ইঙ্গিত দেয়। দলীয় ১৫ রানে শুভমান গিল (৪) আউট হলেও অভিষেক শর্মার ঝড় অব্যাহত থাকে। তিনি ৩১ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (১২) বড় ইনিংস গড়তে না পারলেও সঞ্জু স্যামসন (২৩ বলে ৩৯) ও তিলক ভার্মা (৩৪ বলে অপরাজিত ৪৯) মিলে ৬৬ রানের জুটি গড়ে দলের স্কোর সমৃদ্ধ করেন। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেলের ১৫ বলে ২১ রানের ক্যামিও ভর করে ভারত নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ২০২ রান তোলে। শ্রীলঙ্কার পাঁচ বোলারই সমান একটি করে উইকেট নেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ ওপেনার কুশল মেন্ডিস, পরপর দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে। তবে আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা দ্বিতীয় উইকেটে ১২৭ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। কুশল ৩২ বলে ৫৮ রান করে ফিরলেও নিশাঙ্কা শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই চালান। ৫৮ বলের ইনিংসে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় তিনি তুলে নেন ব্যক্তিগত ১০৭ রান—টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি এবং ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে ইতিহাস গড়েন।
টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে এর আগে সেঞ্চুরি ছিল কেবল ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলি ও হংকংয়ের বাবর হায়াতের। তাদের সঙ্গে নিজের নাম লেখালেন নিশাঙ্কা। শেষদিকে ১১ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেও শেষ ওভারে ১২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি লঙ্কানরা। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০২ রানে থামে তাদের ইনিংস। ভারতের পক্ষে ৫ বোলারই একটি করে উইকেট শিকার করেন।
ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ৪ বল খেলে মাত্র ২ রানেই ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩ রান। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার করা প্রথম বলেই কভার ড্রাইভ খেলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব, শুভমান গিলকে সঙ্গে নিয়ে দৌড়ে সংগ্রহ করেন প্রয়োজনীয় ৩ রান।
ফাইনালের আগে প্রধান পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে বিশ্রামে রেখেই জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। এই নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৬ বার সুপার ওভারে খেলল শ্রীলঙ্কা, যেখানে তাদের ৪টিতেই হার। বিপরীতে ভারত সুপার ওভারে ৬ ম্যাচ খেলে সবকটিতেই জয়ের মুখ দেখেছে। অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওঠার এই জয় নিঃসন্দেহে এশিয়া কাপে ভারতের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
