বিজ্ঞাপন
সোমবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক মিজানুর ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়।
চিঠিতে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়েছে, “আপনারা যথাক্রমে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকেও জেলা যুবদলের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় শৈথিল্য প্রদর্শন করায় সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে মর্মে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে।”
এতে আরও বলা হয়, “এমতাবস্থায়, সংগঠনের শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।”
চিঠিটি যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে প্রেরিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুর সদরের পরমানন্দপুর বাজারে গণসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এ কে আজাদ। এ সময় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে একটি মিছিল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
মিছিলকারীরা এ কে আজাদকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন এবং “অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন” বলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারী একজনের হাতে কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নায়াব ইউসুফের পোস্টারও দেখা যায়।
একপর্যায়ে যুবদলের ওই নেতারা এ কে আজাদের বহরের শেষের দুটি গাড়িতে আখ ছুড়ে মারে ও কাচ ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার পর ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “পরমানন্দপুরে আমাদের কোনো ইউনিট নেই। যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন, তারা যুবদলের সাংগঠনিক কমিটির কেউ নন।”
অন্যদিকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীস্থ নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কে আজাদ অভিযোগ করেন, “তারা (যুবদল) টার্গেট করেছে আমাকে, কারণ আমি সমাজসেবামূলক কাজ করি। আমার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, আর এই জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তারা হামলা করেছে।”
অপরদিকে একই দিন দুপুরে ভিডিও বার্তায় কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, “এ কে আজাদ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঘোরেন। আমাদের শান্তিপ্রিয় নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত ছিলেন। তার বহরে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসীর উপস্থিতি দেখে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
