বিজ্ঞাপন
সোমবার (২০ অক্টোবর) ফ্লোরিডায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশ করেছে।
মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, “জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডিএইচএস অপরাধে জড়িত ৪ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি অনথিভুক্ত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে বা তারা ইতোমধ্যে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “দেশজুড়ে আমরা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছি যাতে আমাদের কমিউনিটিগুলো আরও নিরাপদ হয়, পরিবারগুলো সমৃদ্ধ হতে পারে, উন্নতি করতে পারে এবং সেই স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে যার ভিত্তিতে এই দেশ গড়ে উঠেছে।”
অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্প প্রশাসনের এই কঠোর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও এই অভিযানকে তার প্রশাসনের এক “রেকর্ড ভাঙা উদ্যোগ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “আমার প্রশাসনের অধীনে এফবিআই দুর্দান্ত কাজ করছে। ২০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারেরও বেশি সহিংস অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে (রেকর্ড ভাঙা!)। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে আইন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনছি।”
এর আগে গত মাসে ডিএইচএস জানায়, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২০ লাখ অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ করেছেন এবং ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাসিত করা হয়েছে।
এই ধারাবাহিক অভিযানের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন আবারও তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি “আমেরিকা ফার্স্ট” বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষকরা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
