বিজ্ঞাপন
নিহতের নাম আকিল আহমেদ (২০)। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কোমলগঞ্জ উপজেলার ছাতকছড়া গ্রামের মৃত নওয়াব আলী ও স্বপ্না বেগমের ছেলে। নিহত ব্যক্তি মোঃ ইমরান মিস্ত্রি’র ভাতিজা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শুক্কুর জানায়, তিনি এবং আকিল আহমেদ একই ৫ম তলায় বিল্ডিংয়ের প্লাস্টারের কাজ করছিলেন। হঠাৎ আকিল নিচে পড়ে গেলে তিনি তাকে উদ্ধার করে বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্কুর আরও জানান, তারা একই উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দেখা গেছে, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ ভবনের ৪র্থ তলার উপরে আইসিটি ভবনের কাজ চলছিল। কাজের শুরুতে ভবনের চারপাশে নিরাপত্তার জন্য টিন দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও পরে কেবল সামনের অংশে টিন রেখে বাকিগুলো খোলা রাখা হয়। স্থানীয়রা জানান, যেখানে আকিল কাজ করছিলেন সেখানে তারা মাচা বেধে কাজ করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই মাচা থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রনি সরকার জানান, নিহত ব্যক্তি হাসপাতালে আনার আগে মারা গেছেন। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত্যুর নিশ্চয়তা সাপেক্ষে ডেথ সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মানস বড়ুয়া জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মামুনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, “এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “নিহত ব্যক্তি যিনি দেখাশোনা করছিলেন, তিনি নিহতের চাচাতো ভাতিজা।”
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতায় এই আইসিটি একতলা ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন ঠিকাদার শুভ্রাংকর চাকমা। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
