বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে ত্রিশাল থানায় এ অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূ।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আকমল হোসেন (৩৮)। তিনি উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর ভোরে গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বসতঘর থেকে বের হয়ে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত আকমল তাকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরেন এবং বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে একটি ধানক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানেই ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। ওই নারীর চিৎকারে তার স্বামী ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আকমল পালিয়ে যান।
গৃহবধূর ছোট ভাইয়ের দাবি, আকমল হোসেন প্রায়শই তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাগনিকে উত্ত্যক্ত করতেন। ঘটনার দিন ভোরে তার ভাগনির ওড়না পরিধান করে বোন (গৃহবধূ) টয়লেটে যান। সেই ওড়না দেখে আকমল ভাগনি মনে করে তার বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
তিনি আরও জানান, ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকির কারণে প্রথমে তার বোনের পরিবার থানায় যেতে পারেনি। পরে তিনি তার বোনকে নিয়ে থানায় এসে বিস্তারিত জানালে পুলিশ মামলা নেয়।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার ভাষ্য, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরী দেখতে তার মায়ের মতোই। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য অভিযুক্ত আকমল মাস দুয়েক ধরে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি আরও জানান, "মেয়ে ভেবে মাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে" বলে স্থানীয় লোকজন এমন কথা বললেও মামলার অভিযোগে বাদী এমন কিছু উল্লেখ করেননি। মঙ্গলবার ওই গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা রয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
