বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্যাখালী গ্রামের পান বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সাব্বিরকে ঢাকায় নেওয়ার পথে একই দিন দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাব্বির উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ্বপুর গ্রামের তাজু ড্রাইভার বাড়ির মো. লিটনের ছেলে। আটককৃতরা হলেন— ধানশালিক ইউনিয়নের পান বেপারী বাড়ির মো. সিরাজের ছেলে আব্দুর সোবহান শামীম (৩০) এবং তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার (২৩)।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নিহতের বন্ধু আনোয়ার হোসেন শাকিল জানান, পারিবারিক কলহের জেরে চার-পাঁচ দিন আগে শামীম গোপনে তার খালা মানোয়ারা বেগমের খেতের লাউ গাছ কেটে ফেলেন। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা দুর্বৃত্তকে হাতেনাতে ধরতে পরামর্শ দেন। বুধবার বিকেলে মরিচ গাছের চারা কাটার সময় শামীমকে হাতে-নাতে দেখে ফেলেন মানোয়ারা বেগম। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে শামীম উল্টো তাকে মারধর শুরু করেন।
খবর পেয়ে শাকিল তার বন্ধু সাব্বিরসহ খালার বাড়িতে গিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠান। পরে বাড়িতে তালা দিয়ে ফেরার সময় শামীম তাদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন এবং ‘মহিলাদের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে, তিনি কিছু করেননি’—এমন বক্তব্য দেন। এ সময় তারা কেন এসেছেন জানতে চাইলে শামীম ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সাব্বিরের মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
স্থানীয়রা দ্রুত সাব্বিরকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কবিরহাট থানার ওসি মো. শাহীন মিয়া বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে মাথায় কুপিয়ে ওই তরুণকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
