বিজ্ঞাপন
বার্তাসংস্থা পিটিআই জানায়, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। এ সময় হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও গভীর তদন্ত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
পিটিআই বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানায়, শহীদ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় ভারতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে—এমন অভিযোগ ওঠায় নয়াদিল্লি এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত প্রত্যাশা করছে। ভারতীয় পক্ষের মতে, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ ওসমান হাদি নিহত হওয়ার পর ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব বাড়ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে পিটিআই।
এর আগে একই দিনে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রসচিব এ সময় নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ভারতে কর্মরত বাংলাদেশের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও গত ১৪ ডিসেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেদিন ভারতে অবস্থানরত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে সরকারের উদ্বেগের কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীরা যাতে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে—সে বিষয়ে ভারতের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
অন্যদিকে, গত ১৭ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাল্টা তলব করা হয়। এরপর এক সপ্তাহ না যেতেই গতকাল (২৪ ডিসেম্বর) তাকে ফের তলব করল ভারত।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, শহীদ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার ইঙ্গিত দেখা দিয়েছে, যা উভয় দেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
