বিজ্ঞাপন
কাঁদা-পানিতে চলাচলের অনুপযোগী এসব রাস্তায় যানবাহন চলাও হয়ে পড়েছিল প্রায় অসম্ভব।
এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন আকচা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মীর জাহিদ হাসান। নিজ অর্থায়নে তিনি ইউনিয়নের কয়েকটি কাঁচা রাস্তায় ইট, মাটি ও রাবিশ ফেলে সংস্কার করেন। তার এই মানবিক উদ্যোগে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ অনেকটাই কমে এসেছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে আকচা ইউনিয়নের বন্দরপাড়া, মুন্সিপাড়া, বকসেরহাট, শিমুলতলা ও চৌধুরীপাড়া এলাকায় প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার ভাঙাচোরা রাস্তা সংস্কার করেন তিনি। রোববার (২৯ জুন) দুপুরে স্থানীয়দের সহায়তায় রাস্তার খানাখন্দে ইট ও মাটি ফেলার কাজ করেন তিনি নিজেই। স্থানীয়রা জানান, এসব রাস্তায় একসময় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান কাদা জমে যেত। তখন হেঁটেও চলাচল করা যেত না।
এ বিষয়ে মীর জাহিদ হাসান বলেন, “রাস্তাগুলোর করুণ অবস্থায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও বিশেষ করে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছিলেন। তাই আমি নিজ উদ্যোগে এসব রাস্তায় ইট-মাটি ফেলে চলাচল উপযোগী করে দিচ্ছি, যেন মানুষ একটু স্বস্তিতে চলতে পারে।”
মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইসরাফিল, সমসের আলী, মকবুল ও হাসান জানান, প্রতিদিন প্রায় ৩,৫০০ মানুষ এই রাস্তাগুলো দিয়ে চলাচল করে। আগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হতো, এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
এক অটোচালক বাবুল বলেন, “আগে দুর্ঘটনা লেগেই থাকত। এখন রাস্তা কিছুটা ঠিক হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে এসেছে।”
স্থানীয় যুবক সবুজ বলেন, “আগে এই রাস্তায় চলাচল ছিল দুর্বিষহ। জাহিদ ভাইয়ের উদ্যোগে এখন আমরা অনেকটাই স্বস্তিতে আছি।”
আকচা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শিমলা রানী বলেন, “ভাঙাচোরা রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য আমরা প্রকল্প পাঠাবো। তবে কেউ নিজ থেকে এমন উদ্যোগ নিলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তা সাধুবাদ জানাই।”
-মোঃহুমায়ুন কবির রেজা, ঠাকুরগাঁও