বিজ্ঞাপন
রোববার (২৯ জুন) টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শত্রুপক্ষের সাতটি আকাশ লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানার পরই ইউক্রেনীয় বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে ভূপাতিত হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “শত্রুর বিশাল আক্রমণ প্রতিহত করার সময় প্রথম শ্রেণীর একজন পাইলট, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাকসিম উস্তিমেনকো একটি এফ-১৬ বিমানে শহীদ হন। তিনি ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।”
একটি পৃথক বিবৃতিতে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, চলমান হামলায় রাশিয়া মোট ৫৩৭টি ‘প্রজেক্টাইল’ ছুঁড়েছে ইউক্রেনের দিকে, যার মধ্যে রয়েছে শাহেদ ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল। ইউক্রেনীয় বাহিনী দাবি করেছে, তারা এর মধ্যে ৪৭৫টি সফলভাবে প্রতিহত করেছে।
এই হামলায় ইউক্রেনজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে ‘কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ পত্রিকা। দক্ষিণ মাইকোলাইভ, দক্ষিণ-পূর্ব জাপোরিঝিয়া এবং পশ্চিম লভিভ অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র।
মধ্য ইউক্রেনের চেরকাসি অঞ্চলের গভর্নর ইহোর তাবুরেটস বলেন, এই আক্রমণে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেসামরিক অবকাঠামো, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি বহুতল ভবন এবং একটি কলেজ।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ইউক্রেনের মাইকোলাইভ এবং ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ওইসব এলাকায় ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষকে সরিয়ে নিতে উদ্ধারকর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে পুড়ে যাওয়া দেয়াল ও চূর্ণবিচূর্ণ জানালা।
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুরস্ক ও রোস্তভ সীমান্তবর্তী অঞ্চল এবং দখলকৃত ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে তাদের বাহিনী।