ছবি : র্যাবের সৌজন্যে।
বিজ্ঞাপন
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাব জানায়, টুন্ডা বাবু দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চুরি ও খুনসহ নানা অপরাধে সক্রিয় ছিলেন।
র্যাব-২-এর পরিচালক মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, গ্রেপ্তারের পর টুন্ডা বাবুকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার ওরফে কবজিকাটা আনোয়ারের প্রধান সহযোগী। কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ারের নির্দেশে টুন্ডা বাবু ও তার সহযোগীরা রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে টুন্ডা বাবু জানান, দিনে তাঁরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কম জনসমাগমপূর্ণ স্থানে অবস্থান করে পথচারীদের জিম্মি করে টাকা, মুঠোফোন, ল্যাপটপ ও ভ্যানিটিব্যাগ ছিনিয়ে নিতেন। গভীর রাতে ফ্ল্যাটবাড়িতে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি ও গাড়ি থামিয়ে লুটপাটও করতেন তাঁরা। এ ছাড়া মাদক ব্যবসার সঙ্গেও তিনি ও তাঁর গ্যাং জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেন।
র্যাব জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শ্যামলী হাউজিংয়ের ২ নম্বর প্রজেক্ট এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে শোডাউন দেন টুন্ডা বাবু। ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার পর ২৪ ফেব্রুয়ারি র্যাব তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে ৫ মে জামিনে মুক্তি পান তিনি এবং পরে আবারও অপরাধে জড়িয়ে পড়েন।
সংস্থাটি আরও জানায়, টুন্ডা বাবুর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ ১০টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব আরও জানায়, মোহাম্মদপুর এলাকায় চলমান বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে এর আগে মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী ভূঁইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল, চুয়া সেলিম গ্রুপের প্রধান মো. সেলিম আশরাফী ওরফে চুয়া সেলিম ওরফে চোরা সেলিম এবং কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান মো. আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজিকাটা আনোয়ারকে তাঁদের সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, এসব গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাং ও সংঘবদ্ধ অপরাধীদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।