বিজ্ঞাপন
তিনি মনোহরদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা বলে জানা গেছে।
রবিবার (৬ জুলাই) দুপুরে আসাদনগরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে নিজেকে উপজেলা সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ভবনের মালিকের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন জব্বার। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা জব্বারকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
পরে গণধোলাইয়ের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই আব্দুল জব্বার কিশোর গ্যাং নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। 'জুলাই বিপ্লব'–এর পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। উপজেলা প্রশাসন, থানা, হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীরা জানান, মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে প্রায়ই জব্বারের নেতৃত্বে একটি গ্যাং অবস্থান করে। রোগীসহ যেকোনো সেবা নিতে গেলেই তারা চাঁদা দাবি করে।
সম্প্রতি জব্বারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করলে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির ওপর অতর্কিত হামলা চালায় জব্বার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, জব্বার মনোহরদীর এক প্রভাবশালী নেতা সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছেন এবং মনোহরদীকে চাঁদাবাজির স্বর্গে পরিণত করেছেন।
-মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি