ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
“তিন শ্রেণির মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং আল্লাহ কিয়ামতের দিন তাদের দিকে তাকাবেন না:
(১) যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতার অবাধ্য হয়,
(২) যে মহিলা পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বন করে বা পুরুষবেশ ধারণ করে,
(৩) যে পুরুষ দাইয়ূস — অর্থাৎ যে তার স্ত্রী, কন্যা বা পরিবারের নারীদের চরিত্রহীনতা ও অশ্লীল কাজ সহ্য করে, কিন্তু বাধা দেয় না।”
— (আহমাদ হা/৬১৮০; নাসাঈ হা/২৫৬২; সহীহুল জামে’ হা/৩০৭১)
ইসলামে পিতা-মাতার অবাধ্যতা মহাপাপ। অসংখ্য হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পিতা-মাতার আনুগত্য ও তাদের প্রতি সদাচরণ জান্নাত লাভের অন্যতম শর্ত। পিতা-মাতার প্রতি অবাধ্য আচরণ মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
রাসূল ﷺ কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন নারীদের পুরুষের সাদৃশ্য ধারণ করা বা পুরুষবেশে সাজগোজ করা থেকে। একইভাবে পুরুষদেরও নারীর সাজ-পোশাক গ্রহণ করা শরীয়তে কঠিন অপরাধ।
“রাসূল ﷺ পুরুষদের মধ্যে নারীর বেশধারীদের এবং নারীদের মধ্যে পুরুষবেশধারিণীদের প্রতি অভিশাপ দিয়েছেন।”
অন্য হাদিসে তিনি বলেন: “যে পুরুষ মেয়েলি পোশাক পরে এবং যে নারী পুরুষের পোশাক পরে – আল্লাহ তাদের প্রতি লা‘নত করেছেন।” এটি আল্লাহর ফিতরাত বিরোধী কাজ হিসেবে ইসলামে নিন্দিত।
সেই নারীকে বোঝায়, যিনি পুরুষের মত পোশাক, সাজসজ্জা, চুলের স্টাইল, চলাফেরা, কণ্ঠস্বর বা আচরণ অনুকরণ করেন। যেমন – পুরুষের পোশাক (শার্ট-প্যান্ট, টাই, জুতা ইত্যাদি) গ্রহণ করা, পুরুষালি চুল রাখা, পুরুষের মত কণ্ঠস্বর অনুশীলন করা ইত্যাদি।
সেই পুরুষকে বোঝায়, যিনি নারীর মত পোশাক, সাজসজ্জা, চালচলন বা কোমলতা গ্রহণ করেন। যেমন – মেয়েলি পোশাক পরা, নারীদের মত অঙ্গভঙ্গি ও কোমল ভঙ্গিতে হাঁটা-চলা, কণ্ঠস্বর নারীর মতো করে বদলানো, কিংবা প্রসাধন সামগ্রী নারীদের মত ব্যবহার করা।
“দাইয়ূস” বলতে তাকে বোঝানো হয়েছে, যে তার পরিবারের নারীদের চরিত্রহীনতা, অশ্লীলতা বা নোংরামি মেনে নেয় এবং বাধা দেয় না। ইসলামে এমন পুরুষকে জান্নাত থেকে বঞ্চিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। হাদিস অনুযায়ী, কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেনও না।
এই হাদিস আমাদের স্পষ্টভাবে সতর্ক করে দেয় যে, ইসলাম কেবল নামাজ-রোজার ইবাদতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং চরিত্র, নৈতিকতা, পোশাক-আশাক, পারিবারিক পবিত্রতা এবং সামাজিক আচরণেও ইসলাম একই গুরুত্ব আরোপ করেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
