কবিরহাটে বিএনপি প্রার্থী ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

---

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের’ অভিযোগে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট-সদর আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার ও তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলার কবিরহাট বাজারে ‘নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপির পরিবারবর্গ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কবিরহাট সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে কবিরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে। পরে বাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান হারুন, কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক নুর উদ্দিন, কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য বেলায়েত হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল, কবিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ইমতিয়াজ উদ্দিন রিজন, এবং কবিরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আহসান উল্যাহ মোহন।

এসময় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, “আগামী নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও এস. আলম গ্রুপের ব্যবসায়িক পার্টনার ফখরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে—এই সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু গতকাল তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী।”

তারা দাবি জানান, “দলের শীর্ষ নেতাদের অসম্মানজনক মন্তব্যের দায়ে ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল এবং তাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।”

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে নোয়াখালী-৫ আসনের প্রার্থী ফখরুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়— “আমি যদি বলি, সারাদিন বলে শেষ করা যাবে না, হাজার হাজার নেতাকর্মী দেখেন, এর বড় অংশই অন্যদল থেকে আসা। এমনকি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল সাহেবও অন্যদল থেকে এসেছেন। ওবায়দুর রহমান আওয়ামী লীগ থেকে এসে মহাসচিব হন, মান্নান ভূঁইয়া ন্যাপ থেকে এসে মহাসচিব হন। নোয়াখালীর রাজনীতিতেও বরকত উল্যাহ বুলু, জয়নুল আবেদীন ফারুক, শাহজাহান সাহেব—এরা কেউই বিএনপির প্রোডাক্ট নন। তাহলে এত লোক যদি বিএনপি করতে পারে, সবার চুলকানি শুধু আমাকে নিয়ে কেন?”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট-সদর আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, “কবিরহাট উপজেলা বিএনপির প্রায় সকল নেতাকর্মীর সঙ্গে আজ সকাল থেকে আমার বৈঠক চলছে। এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। সবাই নাগরিক—তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার রয়েছে।”