বিজ্ঞাপন
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী কার্যালয়ে বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের মৌতলা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব ও ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম নোয়াখালী সদর উপজেলার একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। কয়েক মাস আগে ফেসবুক মেসেঞ্জারে সাতক্ষীরার তরুণ অভিজিৎ নামের একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে টেলিগ্রামে তারা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে তোলে। প্রেমের সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে অভিজিৎ নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়।
গত ৭ মে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একটি আবাসিক হোটেলে তোলে অভিজিৎ। সেখানেই তার স্বর্ণালংকার ও অর্থ কৌশলে হাতিয়ে নেয় এবং একপর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তাকে একটি দালালের মাধ্যমে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
অবশেষে, ভুক্তভোগী কিশোরী যৌনপল্লিতে অবস্থানরত আরেক মেয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে ১৫ জুন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শুভজিৎ কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। একই মামলার আরেক প্রধান আসামি সাব্বির নামে এক পাচারকারীকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।