ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
তার মতে, বাংলাদেশের তরুণরা ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছে, আর এই তারুণ্য ও স্বপ্নই আগামীর শক্তি।
শুক্রবার, সামাজিক ব্যবসা দিবস উপলক্ষে সাভারের জিরাবোতে ইউনূস সেন্টারের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিশ্বের ৩৮টি দেশের প্রতিনিধি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট নাগরিকরা।
ড. ইউনূস এই অনুষ্ঠানে সামাজিক ব্যবসা বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনূস সেন্টারের রিলেশন ম্যানেজার জিনাত ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস, গ্রামীণ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান, বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমাইল সেরাজেলদীন এবং জাপানের ইউগলেনা প্রতিষ্ঠাতা মিতসুরো ইজুমু।
ড. ইউনূস বলেন, “সামাজিক ব্যবসা এমন এক উদ্যোগ, যেখানে মূল লক্ষ্য মুনাফা নয়, বরং সমাজের সমস্যাগুলো সমাধান করা। দারিদ্র্য, ক্ষুধা, স্বাস্থ্য সমস্যার মতো বিষয়গুলোর টেকসই সমাধানে এই মডেল কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের ব্যবসার মাধ্যমে একটি এমন বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব, যেখানে মানুষ শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকতে পারবে।”
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ২৮ জুন পালিত হয় ‘সামাজিক ব্যবসা দিবস’। ২০১০ সাল থেকে দিনটি পালিত হয়ে আসছে। ড. ইউনূসই প্রথম এই ধারণাটি বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করেন।
এই দিবস ঘিরে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা সংস্থা ও সংগঠন সেমিনার, কর্মশালা ও নানা আয়োজনের মাধ্যমে সামাজিক ব্যবসার গুরুত্ব তুলে ধরছে এবং তা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
-এমএসকে