নড়াইলের যোগানিয়া থেকে বাগুডাঙ্গা রাস্তার কিছু দৃশ্য
বিজ্ঞাপন
বর্ষা এলেই কাদার সাগরে পরিণত হয় পুরো রাস্তা। জনসাধারণ যেন নিত্যদিন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পথ পাড়ি দিচ্ছে।
সংযুক্ত ছবিতে দেখা যায়, এক রিকশাচালক তাঁর বাহনে গৃহস্থালী মালপত্র নিয়ে কাদা-পানির মাঝে আটকে আছেন। তাঁর চোখে-মুখে ক্লান্তি আর হতাশা—যেন রাস্তাটির অবস্থাই বলে দিচ্ছে, "আমাদের কেউ দেখে না।"
এলাকাবাসী বলছেন, এই রাস্তার পাশ দিয়ে রয়েছে একাধিক স্কুল, মাদ্রাসা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন এই পথে। বর্ষায় রিকশা, ভ্যান বা ইজিবাইক প্রায়ই উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। অন্যদিকে, শুকনো মৌসুমে রাস্তার ধুলা নিশ্বাস নেওয়ারও উপযোগী রাখে না।
স্থানীয় একজন নারী বলেন,
“আমার ছেলে প্রতিদিন এই রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ভিজে স্কুলে যায়। জ্বর হলে আমরা ডাক্তার দেখাতেও পারি না সময়মতো। এই রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে চায় না।”
একই সুরে কথা বলেন একজন বৃদ্ধ—
“রাস্তাটার চেহারা দেখলে মনে হয় এটা কোনো ব্যবহৃত সড়ক না, যেন যুদ্ধের ময়দান।”
জনগণের জোর দাবি
নড়াইল-গোপালগঞ্জ সংযোগের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। তাদের প্রশ্ন—জনপ্রতিনিধিরা কি এই কাদায় একদিনও হেঁটে দেখেছেন?
প্রতিবেদক -এস, এম, জাহিদুর রহমান, নড়াগাতী, নড়াইল।