বিজ্ঞাপন
তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার এজাহারভুক্ত চারজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুইজন, মোট ছয় আসামিকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন আশরাফুল ইসলাম, যিনি নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, আশরাফুল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। ধর্ষণের ঘটনায় তার জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী তার অভিযোগে জানান, “আমার স্বামী বিগত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে আমাকে নিয়ে জানকিপুর মানজালিয়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। তিনি সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘটনার দিন আমি অটোগাড়িতে করে নিলক্ষীয়া বাজারে যাওয়ার পথে মানজালিয়া এলাকায় শাহিনের দোকানের সামনে রাস্তায় আমাকে টেনে নামিয়ে জোরপূর্বক একটি পরিত্যক্ত রান্নাঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে জোর করে এবং পালাক্রমে ধর্ষণ করে।”
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “গনধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত চারজন ও অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনসহ মোট ছয় আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রতিবেদক - মোঃ আমিনুল ইসলাম, বকশীগঞ্জ, জামালপুর।