Logo Logo

শিবচরে দুই সহোদরের সাফল্যে গর্বিত বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী


Splash Image

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পূর্ব মির্জারচর গ্রামের বাসিন্দা রানু আক্তার ও আলমগীর হোসেন দম্পতির দুই ছেলে লিখন ও রাতুল এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।


বিজ্ঞাপন


বাজিতপুর হাজেরা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এই দুই সহোদর একসাথে পেয়েছে জিপিএ-৫ (এ প্লাস)। তাদের এই যুগল সাফল্যে খুশি তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও এলাকাবাসী।

লিখন ও রাতুলের সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায়, তারা শুধু মেধাবী নয়, একইসাথে বিনয়ী ও মার্জিত। ফলাফলের খবরে তাদের মুখে ছিলো খুশির ঝিলিক, তবে প্রকাশভঙ্গিতে ছিলো অপার বিনয়। তারা জানান, পরীক্ষার সময় প্রস্তুতি ভালো থাকায় ফলাফল নিয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।

তাদের এই অর্জনের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান কার, জানতে চাইলে দুই ভাইয়ের উত্তর সোজাসাপ্টা—‘আমাদের মা’। তারা বলেন, “মা আমাদের জন্য ছিলেন ছায়ার মতো। প্রতিদিনের পড়াশোনার প্রতি তিনি যেমন নজর রেখেছেন, তেমনি আমাদের মানসিক সাহস জুগিয়েছেন।” পাশাপাশি, প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথাও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেছে তারা। লিখনের ভাষায়, “বিদ্যালয়ের কাছে আমরা চিরঋণী। এখানকার শিক্ষকরা শুধু পড়াননি, আলোর পথ দেখিয়েছেন।”

বিদ্যালয়ের শিক্ষক লুতফর রহমান লিটন এই দুই ছাত্রের সাফল্যে গর্ব প্রকাশ করে বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে। তবে আসল কৃতিত্ব লিখন ও রাতুলের। তারা নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী এবং মোবাইলের মতো বিভ্রান্তিকর প্রযুক্তি থেকেও দূরে থেকেছে।”

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একই পরিবারের দুই ভাইয়ের একসাথে জিপিএ-৫ পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। এ কারণে পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ।

লিখন ও রাতুলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, নির্দিষ্ট কোনো পেশা এখনও বেছে না নিলেও তারা দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করতে চান। তারা বিশ্বাস করে, সৎভাবে চেষ্টা করলে ভালো কিছু করাই সম্ভব।

এই দুই শিক্ষার্থীর এমন সাফল্য প্রমাণ করে, একাগ্রতা, মা-বাবার সঠিক দিকনির্দেশনা ও শিক্ষকদের আন্তরিকতা থাকলে সীমিত সুযোগেও বড় অর্জন সম্ভব।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...