প্রতীকী ছবি।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতন বিষয়ক মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শুধু জুলাই মাসেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫১ জন নারী ও কন্যা। এর মধ্যে ৩২ জন কন্যা ও ১৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪ জন কন্যা ও ৭ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১ জন কন্যাকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন আরও ১০ জন—এর মধ্যে ৮ জন কন্যা এবং ২ জন নারী।
এছাড়া যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৯ জন কন্যা ও ৬ জন নারী—মোট ১৫ জন।
এসিড হামলা ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মতো নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন ৭ জন নারী। এর মধ্যে ৩ জন এসিড দগ্ধ হয়েছেন এবং একজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
মোট ১৭ জন নারী ও কন্যা আত্মহত্যা করেছেন—এর মধ্যে ৩ জন কন্যা এবং ১৪ জন নারী। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন নারী।
জুলাই মাসে নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর সহিংসতার সবচেয়ে মর্মান্তিক চিত্র ফুটে উঠেছে হত্যার ঘটনায়। ৭৮ জন নিহত হয়েছেন—এর মধ্যে ১০ জন কন্যা ও ৫৬ জন নারী। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ১ জন নারীকে। রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের—এর মধ্যে ৫ জন কন্যা এবং ৬ জন নারী।
জুলাই মাসে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৬ জন—এর মধ্যে ২ জন কন্যা ও ৪ জন নারী। গৃহকর্মী নির্যাতনের ফলে আত্মহত্যা করেছেন ২ জন কন্যা ও ১ জন নারী। অপহরণের শিকার হয়েছেন ১০ জন—এর মধ্যে ৮ জন কন্যা এবং ২ জন নারী। পাচারের শিকার হয়েছেন ১০ জন নারী।
বাল্যবিয়ের চেষ্টার শিকার হয়েছেন ২ জন কন্যা। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন নারী এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছেন আরও ৬ জন।
প্রতিবেদনের তথ্যগুলো সমাজে নারী ও কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগের ইঙ্গিত দেয়। মহিলা পরিষদ এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইনি সহায়তা এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...