ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
এটি শুধুমাত্র দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর একটি মাধ্যম নয়, বরং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিশ্লেষণের একটি ডিজিটাল সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
এই স্মার্ট টয়লেটের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে সংযুক্ত উন্নতমানের সেন্সর প্রযুক্তি। ব্যবহারকারীর মলের রঙ, কঠোরতা ও পরিমাণ নির্ধারণ করতে সক্ষম এই সেন্সর—যা স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের জন্য দারুণ একটি উপযোগী উদ্ভাবন বলে দাবি করেছে টোটো।
টোটোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাপানে এবারই প্রথমবারের মতো সাধারণ আবাসিক ব্যবহারকারীদের জন্য এ ধরনের বুদ্ধিমান টয়লেট বাজারজাত করা হচ্ছে। ‘নিয়োরেস্ট’ সিরিজের দুটি মডেলে যুক্ত করা হয়েছে এই নতুন প্রযুক্তি, যা ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য নজরদারির এক নতুন দ্বার খুলে দিচ্ছে।
টয়লেটের ভেতরে এলইডি আলো সংযুক্ত করা হয়েছে, যা মল নির্গমনের সময় নির্দিষ্ট জায়গায় আলো ফেলে। প্রতিফলিত আলোটি সেন্সরের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয়। এই সেন্সর মলের রঙ তিনটি স্তরে, কঠোরতা সাতটি স্তরে এবং আয়তন তিনটি স্তরে পরিমাপ করতে পারে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর শারীরিক অবস্থার একটি সারাংশও তৈরি করতে পারে—যা ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
স্মার্ট টয়লেটটির খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ জাপানি ইয়েন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ লাখ টাকারও বেশি। এ থেকে স্পষ্ট, এটি এখনও উচ্চমূল্যের পণ্যের তালিকায় থাকছে এবং মূলত স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন ও প্রযুক্তি-প্রীতিশীল ভোক্তাদের লক্ষ্য করেই বাজারজাত করা হচ্ছে।
টোটো কোম্পানির প্রত্যাশা, তারা বছরে প্রায় ৭ হাজার ৩০০টি স্মার্ট টয়লেট বিক্রি করতে পারবে। জাপানের জনসংখ্যা ও প্রযুক্তিবান্ধব সংস্কৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এটি খুবই বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টয়লেট শুধু দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের একটি মাধ্যম না হয়ে উঠছে স্বাস্থ্য-পর্যবেক্ষণের স্মার্ট যন্ত্রে—এটাই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ বার্তা।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...