বিজ্ঞাপন
সদ্য প্রকাশিত খসড়া তালিকায় উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন—বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর—কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে রোববার (৩ আগস্ট) স্থানীয় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির নেতৃত্বে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।
চান্দুরা ডাকবাংলো মোড়ে দুপুরের দিকে ঘন্টাব্যাপী এই অবরোধ চলাকালে মহাসড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে শেষমেশ আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন। তবে তারা সাফ জানিয়ে দেন, দাবি না মানলে পরবর্তী ধাপে কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “বিজয়নগর একটি ঐতিহ্যবাহী এবং ভৌগোলিকভাবে সুসংগঠিত উপজেলা। এর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়নকে অন্য আসনে যুক্ত করার প্রস্তাব বিজয়নগরবাসীর আত্মমর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত।” তারা অবিলম্বে খসড়া বাতিল করে পুরনো আসন বিন্যাস বহালের দাবি জানান এবং ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, দাবি উপেক্ষা করা হলে মহাসড়ক ও রেলপথ একযোগে অবরোধ করা হবে। কেউ কেউ বিজয়নগরকে একটি পৃথক সংসদীয় আসনে উন্নীত করার দাবি তুলেছেন।
বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম, হেফাজতে ইসলামের আফজাল হোসেন, খন্দকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাইদ খন্দকার, সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান লিটন মুন্সী, যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক গোলাম জহির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান মনির, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হোসেন, জামায়াতে ইসলামের ইউনিয়ন সেক্রেটারি শিহাব হোসেন, শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মিয়া, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী ইমরান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদের ৪০টি আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে একটি খসড়া তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এই খসড়ার বিরুদ্ধে আপত্তি, অভিযোগ ও সংশোধনী প্রস্তাব আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। এরপর শুনানি শেষে কমিশন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...