বিজ্ঞাপন
বিএনপি নেতারা এ ঘটনাকে পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক প্রভাব বলেও মন্তব্য করেছেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। একজন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতীকী ব্যক্তিত্বের ছবি টানানো অন্য দলের প্রতি অবিচার তৈরি করতে পারে। তাদের মতে, দেশের ইতিহাসে অবদান রাখা সকল নেতার প্রতি সমান শ্রদ্ধা দেখানো উচিত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় প্রভাবমুক্ত থাকা প্রয়োজন।
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আজাহারুল ইসলাম টুটুল বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এককভাবে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ঝোলানো হয়েছে। অথচ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আরও অনেক রাজনৈতিক শক্তির অবদান ছিল। এই একতরফা চর্চা আমরা গ্রহণ করি না।”
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রেজাউল কবির জানান, “প্রধান শিক্ষক পদাধিকারবলে ছবিটি রেখেছেন। আমরা একাধিকবার অনুরোধ করেছিলাম সরানোর জন্য, কিন্তু তিনি তা শোনেননি।”
প্রধান শিক্ষিকা শামীমা ইয়াসমিন বলেন, “আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুকে আমি শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি। ছবিটি সরানোর কোনো ইচ্ছা আমার নেই। কেউ যদি সরিয়ে ফেলে, সেটা তাদের বিষয়।”
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, “সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো বাধ্যতামূলক। এখনো সেই নির্দেশনার কোনো পরিবর্তন হয়নি। কেউ যদি এ বিষয়ে আপত্তি করে, তা হলে তারা প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় তা জানাতে পারেন।”
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, সরকারি নীতিমালার আলোকে কর্তৃপক্ষ ছবিটি রাখাকে যুক্তিসঙ্গত বলছে।
প্রতিবেদক- নাছরুল্লাহ আল কাফী
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...