Logo Logo

কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র আজ ১৪ দিন ধরে বন্ধ, লোডশেডিং এ জনজীবন বিপর্যস্ত


Splash Image

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে পড়েছে সিলেটের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রায় ১৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এতে সিলেট অঞ্চলে লোডশেডিং তীব্র আকার ধারণ করেছে।


বিজ্ঞাপন


সিলেটে কয়েকদিন ধরেই গরম বেড়েছে। গরমের মধ্যে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মানুষের ভোগান্তিও হচ্ছে। কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রের একটি জেনারেটর বিকল হয়ে পড়েছে। এটি মেরামত করে আবার সচল করতে আরও ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে।

আর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কেবল সিলেট ও সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এটি বন্ধ থাকায় সিলেটে এখন শুধু জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার (এনএলডিসি)।

কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান রোববার জানান, 'বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়েছে। এটি চেঞ্জ করা হচ্ছে। এছাড়া কিছু রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। এসব কাজ শেষ করে কেন্দ্রটি চালু করতে আরও ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে।'

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, 'পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায়—আমাদের কিছু এলাকায় লোডশেডিং করতে হয়। তার উপর আবার ঢাকা থেকে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ। পুরো সিস্টেমে ফ্রিকোয়েন্সি ডাউন হয়ে গেলে ঢাকা থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়। তাই মানুষজন বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।'

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র আজ ১৪ দিন ধরে বন্ধ। কবে এটি চালু হবে তা সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করে জানাচ্ছেন না। কেবল বলেন- মেরামত কাজ চলছে।

প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, 'সিলেট বিভাগে দৈনিক চাহিদা প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট। কিন্তু বর্তমানে সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০০ মেগাওয়াট। তাই লোডশেডিং বেড়েছে। কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু না হলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।'

-এ কে আজাদ / সিলেট

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...