Logo Logo

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ স্কুলের ল্যাবে আগুন, ২৫ শিক্ষার্থী আহত


Splash Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ঐতিহ্যবাহী নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাব কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের স্পার্কের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে হুড়োহুড়িতে আহত হয়েছে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী।


বিজ্ঞাপন


এর মধ্যে ১০ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এবং গুরুতর আহত একজন শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় চলমান একটি প্রজেক্ট ক্লাস চলাকালীন এ দুর্ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক স্পার্কের সূত্রপাত হওয়া মাত্রই দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও, শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত তৃতীয় তলা থেকে নামতে গিয়ে সিড়িতে হুড়োহুড়ির সময় আহত হন অনেকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারিক ক্লাস চলাকালে হঠাৎ একটি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হয়। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক আগুন নিভিয়ে ফেললেও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে দ্রুত নিচে নামার চেষ্টা করে। এই সময় সিড়িতে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যায় অনেকে।

আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং গুরুতর আহত ১০ জনকে ভর্তি করা হয়। গুরুতর একজন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

এ ঘটনার পরপরই বিদ্যালয় এবং সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেনসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।

জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোবারক হোসেন, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি সহ অনেকেই শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।

বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক লৎফর রহমান বলেন, “ল্যাবে হঠাৎ স্পার্ক হলেও শিক্ষক সেটি সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা দ্রুত নিচে নামার চেষ্টা করলে অনেকেই ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যায় এবং আহত হয়।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. নোমান মিয়া বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। আমরা আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সহায়তা করছি।”

এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করার কথা জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...