বিজ্ঞাপন
এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এই সড়ক দিয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের লাখো মানুষের যাতায়াত করে।
সরজমি নিয়ে গিয়ে দেখা গেছে সড়কের উপর বড় বড় খানা গর্তে এক একটা মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। চলতি মাসে টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলের জন্য চরম বিপদজনক হয়ে উঠেছে সড়কটি। মহাসড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ইকবাল মাহমুদ খোপ প্রকাশ করে ভোরের বাণীকে বলেন, এটি কি কোন সড়ক? মৃত্যু ভয় মাথায় নিয়ে চলাচল করতে হয়। ঝাঁকুনিতে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ সড়কটি নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই।
আকবর নামের আরেক চালক বলেন, মাগুরা থেকে নড়াইল যেতে নতুন সড়ক নির্মাণ করলেও ধলহারা বাজার থেকে শত্রুজিৎপুর বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়ক বেহাল অবস্থা থাকার কারণেই সড়কটি ব্যবহার করতে অনেক ক্ষতির মুখে পড়ছে পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
শত্রুজিতপুর বাজার থেকে মাগুরা যেতে সাত কিলোমিটার এর সড়ক পাড়ি দিতেই দেড় ঘন্টা সময় লেগে যায়। পথচারী জানান, সড়কের চরম বেহাল অবস্থা। ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হয়। উল্টে যাওয়ার ঝুঁকি তো আছেই।
অ্যাম্বুলেন্স চালক হাসান বলেন, মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে দিনে একাধিকবার মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে হয়। কিন্তু এই মহাসড়কের যে অবস্থা, তাতে গাড়ি চালানো কঠিন। ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হয় । মাগুরা যাওয়ার সময় শত্রুজিতপুর বাজার থেকে ধলহারা বাজার পর্যন্ত পাঁচ মিনিট সময় লাগতো, এখন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের সময় লাগে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাগুরা সড়ক ও জনপদ বিভাগ কোন সদ উত্তর দিতে পারে নাই।
এই সড়কের পথচারীদের দাবি, যাতে এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে। সাধারণ মানুষের চলার উপযোগী করার জন্য। সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল কে আহবান করছি।
এই সড়কটি যদি এই ভাবে থাকে। যেকোনো সময় মানুষের মৃত্যুর মতো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
-মো: রাজিব হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি মাগুরা
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...