বিজ্ঞাপন
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, তীব্র অনাহার ও মারাত্মক অপুষ্টির কারণে ক্ষুধাজনিত মৃতের সংখ্যা ২০১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অবিরাম ইসরায়েলি হামলা এবং অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও ওষুধের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে পুরো গাজা উপত্যকায়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। এই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৬১ হাজার ৩৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৯ জন আহত হয়েছেন। প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা, আর মানবিক সংকট পৌঁছেছে চরমে।
এদিকে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নয়, বরং একটি বিকল্প বেসামরিক সরকার গঠনের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, সেনাবাহিনী সরাসরি গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেবে, যেখানে লাখো ফিলিস্তিনি বসবাস করেন।
তবে এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের ভেতরেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, এই পদক্ষেপ তাদের প্রিয়জনদের জীবন আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বেসামরিক নাগরিক হত্যার ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে তুলবে এবং মানবিক বিপর্যয়কে আরও গভীর করবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...