বিজ্ঞাপন
পুলিশ কমিশনার জানান, বাদশা নামের এক ব্যক্তি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে বের হওয়ার পর পারুল আক্তার ওরফে গোলাপী নামে এক নারীকে দিয়ে তাকে হ্যানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হয়। গোলাপী বাদশাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। একপর্যায়ে বাদশা তাকে ঘুষি মারেন। এরপর গোলাপীর সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে কোপায়।
আহত বাদশা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া দেয় একদল সন্ত্রাসী। এসময় বাদশাকে কোপানো এবং ধাওয়া দেওয়ার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। সন্ত্রাসীরা বিষয়টি টের পেয়ে ধারণকৃত ভিডিও মুছে ফেলতে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু তুহিন ভিডিও মুছতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
গুরুতর আহত তুহিন দৌড়ে একটি মুদি দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানেও সন্ত্রাসীরা ঢুকে তাকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ড. নাজমুল করিম জানান, এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে—যার মধ্যে ছয়জনকে পুলিশ এবং একজনকে র্যাব-১ গ্রেফতার করে। ভিডিও ফুটেজ দেখে মোট আটজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি এক আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার সন্ত্রাসী কেটু মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা আছে।
পুলিশ কমিশনার স্বীকার করেন, এ ঘটনায় পুলিশের কিছুটা ব্যর্থতা রয়েছে। তিনি বলেন, “গাজীপুর মহানগরীতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম জনবল রয়েছে। এত বিশাল আয়তনের সিটি করপোরেশনের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। সবাইকে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদ হোসেন ভূইয়া, মো. রবিউল হাসান, এস এম আশরাফুল আলম ও এস এম শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...