বিজ্ঞাপন
এতে এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও দায়িত্বহীনতার কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে হাসনপুর মনোপাড়া হাদিস মিয়ার বাড়ির কাছে গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের গার্ডার সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পান ‘আমিনুল ইসলাম’ নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ মূল্য ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৯১ হাজার ৭২০ টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, নরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, হাদিস মিয়া ও আসাদ মিয়া অভিযোগ করেন, কাজ শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট ও সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। "কিছু বললেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাজ চালিয়ে গেছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এপ্রোচের ইট ভেঙে পড়েছে। বরাদ্দের চারভাগের একভাগও ব্যয় হয়নি,"—অভিযোগ তাদের।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার সফি বলেন, "আমিনুল আওয়ামী লীগের ঠিকাদার। শুরু থেকেই নিম্নমানের কাজ করেছে। আমি একাধিকবার তাকে সতর্ক করেছি এবং বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।"
এ বিষয়ে ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম বলেন, "নিম্নমানের কাজের সুযোগ নেই। নির্মাণকালে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। নতুন মাটিতে এপ্রোচের কিছু ইট সরে গেছে, বৃষ্টি কমলে আবার মাটি ভরাট ও ইট বসানো হবে। এখনো পুরো বিল পাইনি।"
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, "এপ্রোচের মাটি সরে গেলে ঠিকাদার তা ঠিক করে দেবে। সম্পূর্ণ বিল এখনো পরিশোধ করা হয়নি।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অলিদুজ্জামান জানান, "বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সেতু নির্মাণে ত্রুটি থাকলে সরেজমিন পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...