বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এশিয়ার সর্ববৃহৎ দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সুন্নি আকিদাপোষণকারী এলাকাবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জশনে জুলুস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর মিছিল থেকে ফেরার পথে মোহাম্মদ আরিয়ান ইব্রাহিম নামে এক যুবক মাদ্রাসার সামনে এসে উচ্চস্বরে গান বাজানো ও অশালীন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। এতে নামাজ ও পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে। এসময় মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে বাধা দিলে গাড়িতে থাকা অন্য যুবকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি বেগতিক হলে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মুমিন ১৪৪ ধারা জারি করেন।
এসময় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সংঘর্ষরতদের শান্ত করার চেষ্টা করলে কাচারি রোডের ত্রিবেণী মোড়ে উপজেলা প্রশাসনকে লক্ষ্য করে পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে সাংবাদিক মোহাম্মদ মুরসালিন আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেনারা মাইকিং করে উভয় পক্ষকে সরে যেতে আহ্বান জানায়। প্রায় ২০ মিনিট পর সংঘর্ষরতরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। রাত ১২টা ৩০ মিনিটের পর থেকে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আজ রাত থেকে আগামীকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের মিছিল, মিটিং, সভা, সমাবেশ ও গণজমায়েত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-মোঃ জাকিরুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...