বিজ্ঞাপন
রোববার ভোরে নগরকান্দা থানার চাঁদহাট ইউনিয়ন থেকে তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন। তিনি জানান, “চেয়ারম্যান সিদ্দিক মিয়াকে ভাঙ্গা থানা পুলিশ আটক করেনি। তাকে ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আটক সংক্রান্ত বিস্তারিত দুপুরের আগে জানানো হবে।”
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক তৌহিদুর রহমান বুলবুল ও পলাশ মিয়া জানান, শনিবার বিকেলে আলগী ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্দিক মিয়া নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পরে রাতে নগরকান্দার চান্দ্রা ইউনিয়নে তার বোনের বাড়ি থেকে রাত ২টার দিকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে তারা কিছু জানেন না বলে জানান। এ ঘটনায় আন্দোলনকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আলগী ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত মেজর প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “অখণ্ড ভাঙ্গা উপজেলা রক্ষার দাবিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আন্দোলনের অন্যতম নেতা সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।”
এদিকে, পূর্ব ঘোষণানুযায়ী আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এই কর্মসূচি চলবে আগামী মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত।
ফরিদপুর-৪ আসনটি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত। অপরদিকে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা ফরিদপুর-২ আসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসনের হামিরদী ও আলগী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এ সিদ্ধান্তের পর থেকেই ফুঁসে ওঠে ভাঙ্গার স্থানীয়রা। নিজেদের ইউনিয়ন ফিরে পেতে আন্দোলনকারীরা টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...