Logo Logo

কোটালীপাড়ায় অভিযানের পরেও দখলমুক্ত হয়নি কুশলা-রাধাগঞ্জ খাল


Splash Image

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা-রাধাগঞ্জ সরকারি খাল জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসন পূর্বে অভিযানের মাধ্যমে দখলমুক্ত করলেও সম্প্রতি জানা গেছে, আবারও কিছু দখলদার খালটি অবৈধভাবে দখল করে মাছ চাষ শুরু করেছেন।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুশলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিরামকান্দি গ্রামের কালাচাঁদ কারিকর ওরফে ফকির (৬০) সরকারি খালের একাংশ জোরপূর্বক দখল করে পুনরায় বালু ভরাট করেছেন। তিনি খালটির অন্তত ২০ শতাংশ জমি নিজস্ব বলে দাবি করেন, তবে ওই জমির মধ্যে সরকারি খালের অংশও রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালের মধ্যে তিনি ৮টি বাঁধ নির্মাণ করে বসতি স্থাপন করেছেন। এতে প্রান্তিক কৃষক ও সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।

গত বছর কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসন খালের ৮টি বাঁধ কেটে দখলমুক্ত করার পাশাপাশি খালের উপর গড়ে ওঠা ৪টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে। তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত, কুশলা ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশের সহযোগিতায় জনস্বার্থে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

স্থানীয় কৃষক সেকেন্দার আলী জানিয়েছেন, প্রায় ২০ বছর ধরে খালের বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ বাঁধ তৈরি করে মাছ চাষ করে আসছিলেন। প্রশাসনের অভিযানে খালটি দখলমুক্ত হলে স্থানীয় কৃষকরা আশা করেছিলেন, ইরি-বোরো ধান আবাদ ও গবাদি পশু পালন সহজ হবে। কিন্তু কিছু দখলদার পুনরায় খাল দখল করার কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী ও কৃষক গণমাধ্যমের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও কোটালীপাড়া ইউএনও-এর কাছে দাবি জানান, জনস্বার্থে দ্রুত খালটি অবমুক্ত করা এবং অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আমাদের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুশলা-রাধাগঞ্জ খালের এক কিলোমিটার অংশ অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে। আমরা পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল খাল দখলমুক্ত করার চেষ্টা চালাব এবং সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।”

প্রসঙ্গত, কোটালীপাড়া উপজেলার খালগুলো স্থানীয় কৃষি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবৈধ বাঁধ নির্মাণের কারণে শুধু কৃষকরা নয়, পুরো এলাকার পরিবেশ ও জনস্বার্থও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রতিবেদক- কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...