বিজ্ঞাপন
গতকাল সোমবার অবরোধ কর্মসূচি সহিংস রূপ নেয়। বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা থানা ও উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এছাড়াও উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই সময় সাংবাদিকরাও বিক্ষোভকারীদের আগ্রাসনের শিকার হন।
তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উক্ত মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে, যদিও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কম। বাজারেও দোকানপাট পুরোপুরি খোলা নেই। মনসুরাবাদ এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় অনেকে রাতের বেলা বাড়িতে থাকছেন না এবং নিরাপত্তার কারণে আশপাশের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, সকাল ৮টা পর্যন্ত মহাসড়কে কোনো অবরোধকারীকে দেখা যায়নি। সকাল থেকেই যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবরোধকারীরা আবার রাস্তায় নামতে পারেন—এর শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, ৪ সেপ্টেম্বর গেজেটের মাধ্যমে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এর পর থেকেই ভাঙ্গায় বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা গত রোববার থেকে তিন দিনের সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন, যা সোমবার সহিংসতায় রূপ নেয়। নিরাপত্তারক্ষীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...