বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, “আমি কোনো ধরনের অভিযোগ করিনি। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করেছে তা আমার জানা নেই। অভিযোগপত্রে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটিও আমার নয়।”
২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল শিক্ষা সচিব বরাবর পাঠানো ওই অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়, অভিযুক্ত শিক্ষকরা ভুয়া সনদপত্র ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছেন। বেশিরভাগই তৎকালীন বিএনপি–জামায়াত জোট সরকারের সময় কলেজ ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত। অভিযোগে আরও বলা হয়, কয়েকজন শিক্ষক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে জাল সনদ সংগ্রহ করেছেন, এতে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন এবং শিক্ষার মান প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকেরা হলেন— বদিউজ্জামান বকুল (ইংরেজি), বোরহান উদ্দীন (বাংলা), আব্দুল কাদের (বাংলা), ফারুক আহমেদ তালুকদার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), এম এ রুবেল (হিসাববিজ্ঞান), সুমন কুমার বণিক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), মোসাঃ সাবিকুন্নাহার (দর্শন), নমিতা পোদ্দার (দর্শন), আহম্মদ আবদুল্লাহ হারুন (উদ্যোক্তা উন্নয়ন), মোঃ শফিকুল আলম (কম্পিউটার অপারেটর) এবং বিধান কর (কম্পিউটার অপারেটর)।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক প্রফেসর এ.কে.এম আলিফ উল্লাহ আহসান ও উপ-পরিচালক ফেরদৌস আহমেদ কলেজে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেন। তারা জানান, “এখন পর্যন্ত অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে আরও গভীরভাবে যাচাই করা হবে।”
অভিযুক্ত শিক্ষকেরা অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। প্রভাষক শফিকুল আলম ও আব্দুল কাদের নয়ন বলেন, “আগেও আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু কোনো প্রমাণ মেলেনি। এবারও আমাদের হেয় করার জন্যই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।”
সবশেষে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী আসলে কে? কেননা, যিনি অভিযোগকারী হিসেবে নামকরা হয়েছেন, তিনি নিজেই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ফলে রহস্য আরও গভীর হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...