বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবেল এলাকার এক মুদি দোকানে কাজ করেন। অভিযোগ, তিনি সমুদ্রসৈকতে গোসলরত নারীদের গোপনে ভিডিও ধারণ করছিলেন এবং এ সময় অশ্লীল মন্তব্য করছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় ফটোগ্রাফারদের নজরে আসলে তারা তাকে আটক করেন।
স্থানীয় ফটোগ্রাফার আরিফ বলেন, “আমরা দেখি সৈকতে গোসলরত অবস্থায় মেয়েদের ভিডিও করছে এবং খারাপ মন্তব্য করছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে ধরে ফেলি।” অন্য ফটোগ্রাফার রাসেল জানান, “তার মোবাইল চেক করে দেখি অনেক ভিডিও সংরক্ষিত আছে। তাই আমরা সঙ্গে সঙ্গে টুরিস্ট পুলিশকে খবর দেই।”
পরবর্তীতে রুবেলকে তার মোবাইল ফোনসহ টুরিস্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি কোন ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুক পেইজে ভিডিওগুলো প্রকাশ করেননি। সরেজমিনে উপস্থিত ব্যক্তিরা ধারণা করছেন, রুবেল ভিডিওগুলো বিক্রি বা অন্য ডিভাইসে ব্যবহার করার চেষ্টা করছিল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পর্যটকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এ ধরনের কর্মকাণ্ড কুয়াকাটার ভাবমূর্তি নষ্ট করে। পর্যটন এলাকা নিরাপদ রাখতে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োজন।”
কলাপাড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসিন সাদেক জানান, “রুবেলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে তাকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ধরনের কাজে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় ঘোষণার পর ভিডিও ধারণকারীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। প্রশাসনের এ কঠোর পদক্ষেপে পর্যটক ও স্থানীয়রা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...