বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্র জানায়, নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশপথের পাশের খালে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত ৬৪৪১ নম্বর দাগে একটি ঘর নির্মাণ করেন ফজলুল হক মৃধা ও তার অনুসারীরা। জায়গাটি দখলে রাখতে ঘরের সামনেই ‘৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়’ লেখা সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ জানাতে গেলে কয়েকজন প্রবীণ বিএনপি নেতা ফজলুল মৃধার অনুসারীদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে মো. ফজলুল হক মৃধা বলেন, “খাস জমিতে নয়, কার্ডের জমিতে মালিকের সঙ্গে চুক্তিনামা করে ঘরটি তুলেছি।”
তবে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবুল হোসেন বলেন, “দলীয় কার্যালয় যদি হয়ও, খাস জমিতে অবৈধভাবে তা হতে পারে না। প্রশাসন যদি ভেঙে ফেলে, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। অফিসের প্রয়োজন হলে আমরা বৈধভাবে ঘর ভাড়া নেব বা জমি কিনে নির্মাণ করব। এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি একমত নই।”
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, “ঘর তোলার বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। খাস জমিতে অবৈধভাবে কোনো ঘর তোলা যাবে না। সে যদি সত্যিই খাস জমিতে ঘর তুলে থাকে, তা সরিয়ে নিতে ইউনিয়ন বিএনপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইয়াসিন সাদেক বলেন, “সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত ঘর দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে না নিলে প্রশাসন তা উচ্ছেদ করবে।”
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সরকারি খাস জমি দখলের এমন প্রবণতা রোধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...