বিজ্ঞাপন
অভিযোগ অনুযায়ী, উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান ও ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) সুহেল চৌধুরী মিলে ২০২২ সালের ৯ আগস্ট তি/মদন/নেত্র/২০২২/২৫৭ নং স্মারকে একটি ভুয়া ওয়ারিশান সনদ ইস্যু করেন। এতে জহুর উদ্দিন নামের এক মৃত ব্যক্তির প্রকৃত উত্তরাধিকারীদের বাদ দিয়ে সাজানো তালিকা দেখানো হয়।
তথ্য অনুযায়ী, দৌলতপুর গ্রামের জহুর উদ্দিন মৃত্যুকালে দুই স্ত্রী, তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া ওই ভুয়া ওয়ারিশান সনদে দেখানো হয়, তিনি কেবল এক স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। এর ফলে দ্বিতীয় স্ত্রী কোকিলা আক্তার ও তার মেয়ে মরিয়ম আক্তার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন।
কোকিলা আক্তার ও মরিয়ম আক্তারের অভিযোগ, ওই ভুয়া সনদ ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকার সম্পত্তি বিক্রি করে দেন প্রভাবশালী মহল। শুধু তারাই নন, আরও কয়েকটি পরিবার ভুয়া ওয়ারিশান সনদের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে।
ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার বলেন, “চেয়ারম্যান ও মেম্বার পরিকল্পিতভাবে আমাকে ও আমার মাকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা আজ ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। ভুয়া ওয়ারিশান দিয়ে আমাদের জমি বিক্রি করার চেষ্টাও চলছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
একই অভিযোগ করেন ধুবাওয়ালা গ্রামের আফসানা মুনমুন ও রোপিয়া খানম। তারা জানান, “চেয়ারম্যানের দেওয়া ভুয়া ওয়ারিশান সনদের কারণে আমরা পৈতৃক সম্পত্তি হারিয়েছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সোহেল চৌধুরী স্বীকার করেন, “আমার দেওয়া ওয়ারিশান সনদে ভুল ছিল। এটি সংশোধনের জন্য আমরা মিটিং করেছি।”
চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, “সোহেল মেম্বারের উপর বিশ্বাস করেই আমি ওয়ারিশানে স্বাক্ষর দিয়েছিলাম। বিষয়টি জানার পর ভুয়া ওয়ারিশান সনদ বাতিলের জন্য মিটিং করেছি।”
এ বিষয়ে মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অলিদুজ্জামান বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...