আন্তর্জাতিক নিন্দার মাঝেই গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ বাড়াচ্ছে ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
গাজা সিটির সাবরা পাড়ায় ভোররাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের অন্তত ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ জীবিত চাপা পড়ে আছেন। তাদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বেড়ে ৫০ ছাড়াতে পারে।
রবিবার ভোরের দিকে একের পর এক বোমা বর্ষণে একাধিক বাড়িঘর মাটির সঙ্গে মিশে যায়। ধ্বংসস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও উদ্ধারকাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে মানুষ উদ্ধার করতে গেলে ইসরায়েলি ড্রোন সরাসরি গুলি চালাচ্ছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে এক স্বজন বলেন, “আমাদের আপনজনরা জীবন্ত চাপা পড়ে আছে। ভেতর থেকে তাদের আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু কাছে যেতেই গুলি চালানো হয়। পাঁচজন এগোলে চারজন মারা যায়, একজন বেঁচে থাকে।”
একই দিন ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয় শাতি শরণার্থী শিবির, তাল আল-হাওয়া এলাকা এবং নাসর জেলার ল্যাভাল টাওয়ারের আশপাশে। মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আরেক হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল থেকে গাজায় অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর এ পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং এক লাখ ৬৬ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। একই সময়ে দুর্ভিক্ষ ও খাদ্যাভাবের কারণে ৪৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪৭ শিশু।
গাজার ভেতরে ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনারা দাবি করছে, তারা সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতেই অভিযান চালাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক মহল একের পর এক নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। রবিবার পোপ লিও বলেন, “সহিংসতা, জোরপূর্বক নির্বাসন আর প্রতিশোধের ওপর ভবিষ্যৎ গড়া যায় না।”
এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের আগে এই সিদ্ধান্তকে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আখ্যা দিয়েছেন “মানবতার জবাব, যা ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলনীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা।
সূত্র- আল জাজিরা
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...